নিজস্ব প্রতিবেদক:
হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বউবাজার, রুমখাঁ নাপিত পাড়া ও বড়ুয়া পাড়ায় একশোর বেশি পরিবারে চোলাই মদ তৈরি হয় বলে জানা গেছে। প্রতিটি বাড়িতে সন্ধ্যার পর থেকে বসে মদের আসর। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সহ যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল। ঘরে ঘরে প্রতিদিন ২ হাজার লিটারের উপরে চোলাই মদ তৈরি হয় বলে জানায় স্থানীয়রা। নিজেদের এলাকার চাহিদা মিঠিয়ে উখিয়ার বিভিন্ন এলাকায় চোলাই মদ সরবরাহ করে এ মাদক কারবারিরা।
চোলাই মদ তৈরি ও সরবরাহে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন, চিকু বালা শর্মা স্বামী রনজিত শর্মা, রেনু বালা শর্মা স্বামী রবিন্দ্র শর্মা, মিনা সরকার স্বামী পরেশ সরকার, লাতু শর্মা পিতা পুর্ন চরন শর্মা, কাজল শর্মা পিতা-মৃত-লাতু শর্মা, নূরুর দোকান (গাজা ব্যবসায়ী), লাকি শর্মা স্বামী রনজিত শর্মা, শান্ত শর্মা পিতা মৃত পরান হরি শর্মা, ভোলাবালা বড়ুয়া স্বামী মৃত দিনবন্দু বড়ুয়া, দিপালী বড়ুয়া স্বামী বিকাশ মিস্ত্রী, প্রতিমা বড়ুয়া স্বামী মৃত দানু বড়ুয়া, চারুবালা শর্মা পিতা বাশিঁমোহন শর্মা, শেপালী শর্মা স্বামী নেপাল শর্মা, বিনন্ঞ শর্মা পিতা মৃত পরানহরি শর্মা, বাশিঁমোহন শর্মা পিতা মৃত বীরেন্দ্র শর্মা, দিপালী শর্মা পিতা মৃত পরান কৃষ্ট শর্মা, অকিঞ্চ শর্মা পিতা মৃত প্রসশ্ন শর্মা, মালা শর্মা স্বামী কালু শর্মা, গোপন শর্মা পিতা মৃত বজেন্দ্র শর্মা, উনুবালা শর্মা স্বামী আনন্দ শর্মা, গীতাবালা শর্মা স্বামী নিলাকান্ত শর্মা, রিনা শর্মা স্বামী মৃত রাখাল শর্মা, সূর্য্যবালা শর্মা স্বামী ভুলা শর্মা সীতা ধর স্বামী কালু শর্মা, বিশু বালা শর্মা পিতা মৃত যুগেশ্চন্দ্র শর্মা, নুনু বড়ুয়া পিতা মৃত আনন্ছ বড়ুয়া, রেভা শর্মা স্বামী গৌরাঙ্গ শর্মা, শেপালী শর্মা স্বামী মৃত পন্ছ ধর শর্মা, শ্যামাচরন শর্মা পিতা মৃত-নিত্যান্দ শর্মা, বজবালা শর্মা স্বামী ভাগ্যধর শর্মা, নিলু শর্মা পিতা মৃত কালু শর্মা, মিনা শর্মা স্বামী সুজিত শর্মা, সুলশি শর্মা পিতা মৃত কৃষ্টচরন শর্মা, মন্জুরী শর্মা স্বামী কালু শর্মা, রিনা শর্মা স্বামী ননা শর্মা, পরিমল শর্মা পিতা মৃত বিনুধ শর্মা, সুভাষের বউ পিতা মৃত সুনাইয়া শর্মা, বিশুবালা শর্মা স্বামী বানেশ্বর শর্মা, বিনেশ্বর শর্মা পিতা মৃত খগেন্দ্র শর্মা, বিজলী শর্মা স্বামী মিটন শর্মা, দিলেন্দ্র শর্মা পিতা মৃত হরিশ্চন্দ্র শর্মা, সুনিল শর্মা পিতা মৃত পরানহরি শর্মা, কাজলি শর্মা স্বামী লিটন শর্মা, সাবিত্রী শর্মা স্বামী রবি শর্মা, রত্না শর্মা স্বামী বিনেন্ছ শর্মা, আরতি শর্মা স্বামী বিনেন্ছ শর্মা, চারুবালা শর্মা স্বামী সুনিল শর্মা, শেপালী শর্মা স্বামী সুমন্ত শর্মা, বাসনা শর্মা পিতা হরিদাস শর্মা, অর্চনা শর্মা স্বামী টিটু শর্মা, নমিতা শর্মা স্বামী কাজল শর্মা, বিউটি শর্মা পিতা মৃত-লাতু শর্মা।
পল্লীচিকিৎসক আশিষ দে বলেন, এই এলাকায় ৫০টির অধিক বাড়ীতে চোলাই মদ তৈরি হয়। যার ফলে এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজ মাদকের ছুবলে চলে যাচ্ছে। সমাজে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের জয়প্রিয়তা কমে যাবে মনে করে তারা এসব কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। অনেক সমাজপতি এই মাদকের সাথে জড়িয়ে গেছে। সরকারের মাদক বিরোধি আন্দোলনকে সফল করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
বড়ুয়া পাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি সুনিল বড়ুয়া বলেন, দিনদিন মাদক ব্যবসা বাড়ছে। এখানে সমাজ কমিটির যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, যারা বড় বড় নেতা আছেন তাদের কারণে মাদক বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে হিন্দু পাড়ার নেতৃবৃন্দরা এগিয়ে আসলে মাদক বন্ধ হয়ে যাবে।
পশ্চিম শীল পাড়া সমাজ কমিটির সভাপতি অজিত শর্মা বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে তারা সমাজের শত্রু। এই সমাজের অনেকে চোলাই মদের ব্যবসা করে। তাদের অনেক কে আমি নিজে ধরিয়ে দিয়েছি। তবে বড় বড় নেতাদের এবং প্রশাসনের কিছু ব্যাক্তির কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের এখন ধরিয়ে দিতে ইচ্ছে করে না। ৫০ লিটাম মদ ধরিয়ে দিলে সেটা দশ লিটার হয়ে যায়।
ইউপি সদস্য স্বপন শর্মা রনি বলেন, এলাকায় মাদক ব্যবসা বেড়েছে। চোলায় মদ কেনা-বেচা চলছে। প্রশাসনের অভিযান জরুরি। অভিযান অব্যহত না থাকলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।