নিজস্ব প্রতিবেদক:
মরিচ্যা-রামু সড়কে বড়ডেবা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুজন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে। আটক দুজনের মধ্যে একজন খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা বলে জানা গেছে।
অভিযানের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে নায়েক সুবাদার মাহমুদুল হাসান বলেন, রবিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টমটম গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৬ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ টি মোবাইল সেট জব্দ করে।
ইয়াবা পাচারের সময় আটক ইয়াবা কারবারিরা হলেন রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেছুয়া পালং সুরত আলম বান্ডুর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা কফিল উদ্দিন রানা ও কুমিল্লার মৃত রহমত আলীর ছেলে শামশুল আলম। মাহমুদুল হক নামের একজন ইয়াবা পাচারকারী পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ছাত্রলীগ নেকা কফিল উদ্দিন রানার নেতৃত্বে একটি মাদক সিন্ডিকেট দীর্ঘ ধরে ইয়াবার চালান পাচার করে আসছিল। মরিচ্যা বাজার কেন্দ্রিক ছাত্রলীগের বড় একটা অংশ এসব ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত। মিয়ানমারের নাগরিক মাহমুদুল হকের সহায়তায় খুনিয়া পালং এলাকায় ইয়াবার আস্তানা গড়ে তোলে রানা সিন্ডিকেট। কিছুদিন আগেও মরিচ্যা বাজারে ছাত্রলীগের ইয়াবার টাকা ভাগবাটোয়ারার অডিও ফাস হয়েছিল।
পূর্ব ধেছুয়া পালং গ্রামের মৃত ইউসুফের ছেলে মোহাম্মদ নূর প্রকাশ পুতুইয়া ইয়াবার সিন্ডিকেটে জড়িত ।
এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফারুক ইব্রাহিমের নির্দেশে মরিচ্যা বিজিবির চেকপোষ্টে নায়েক সুবাদার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় মামলা দায়ের করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টের নায়েক সুবেদার।