শরীফ আজাদ :
উখিয়া সদরে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ৪০টি টমটম জব্দ করে। সরকারি বিধিনিষেধের অষ্টম দিনে জীবিকা উপাজর্নের আশায় টমটম নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তারা।
তবে জরিমানা আদায় না করে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টমটম চালকদের জরুরি খাদ্য সহায়তা তুলে দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ।
জেলা প্রশাসক বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোরতার পাশাপাশি কর্মহীন মানুষদের সহায়তা প্রদান করছে জেলা প্রশাসন।
২১ ক্যাটাগরি বিবেচনায় সহায়তা প্রযোজ্য মানুষদের জরুরি এই সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবিক বিবেচনায় আমরা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছি। এ ছাড়া এ লকডাউনে ৩৩৩-এ কল করা উপজেলার শতাধিক মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আমরা যেমন তৎপর, তেমনি কর্মহীন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।
জরিমানার বদলে খাবার পেয়ে অবাক টমটম চালকরা। তাদেরই একজন সদরের নুরুল আলম ও আবদুল করিম বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আমাদের জেল-জরিমানা করা হবে, কিন্তু ডিসি খাবার দিলেন, খুব ভালো লাগছে। লকডাউনের বাকি দিনগুলোতে আমরা টমটম না চালালেও আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না।
এ সময় ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজ উদ্দীন, উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সন্জুর মোরশেদ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করায় কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম সাত দিন ১ থেকে ৭ জুলাই উখিয়ায় ১২২ মামলায় ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনজনকে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।