মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী হাকিম পাড়ায় দুই যুবককে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচনা তৈরি হয়েছে। তবে উখিয়া থানা কর্তৃপক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
নির্যাতনের শিকার একজন উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেমের ছেলে আবছার।
অপরজন একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে নয়ন।
ভিডিওতে জাহাঙ্গীর ও আবদুস সালাম নামের দুই ব্যক্তিকে তাদের গালমন্দ ও ব্যাপক মারধর করতে দেখা গেছে।
গত বুধবার ১৪ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে ওই দুই যুবকের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার ভিডিওটি ভাইরাল হয় দুই দিন পর।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের পেছনের রাস্তা থেকে নির্যাতনকারী জাহাঙ্গীর ও আবদুস সালাম অজ্ঞাত ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৪০০০ ইয়াবা কেড়ে নেয়। দৃশ্যটি নির্যাতনের শিকার আবছার ও নয়ন দেখে ফেলে এলাকার জনসম্মুখে প্রকাশ করলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় তারা। পরে জাহাঙ্গীর ও আবদুস সালাম মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে গত বুধবার আব্দুস সালাম তার বাড়ির উঠানে রশি দিয়ে ভুক্তভোগী দুই যুবককে গাছের সাথে বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালায়।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, আবছার ও নয়নকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেলে জাহাঙ্গীরের পিতা মুফিজ উদ্দীন চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকা আবসারের কপালে লাথি মারেন। একপর্যায়ে তার নেতৃত্বে দুই যুবকের নিকট কোন অভিযোগ না করার মর্মে স্ট্যাম্পে সই নেয়। অভিযোগ করলে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্যাতনের ঘটনা আমি শুনেছি। অনেকে ফেইসবুকে ভিডিও দেখেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নই। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।