শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া:
করোনার সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে জমজমাট গরুর বাজার বসেছে উখিয়া দারোগা বাজার হাটে।
শনিবার (১০ জুলাই) দিনব্যাপী উপজেলার অন্যতম বৃহৎ উখিয়া দারোগা বাজার হাটে মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানলেও কিছু মানুষ মানছে চাইছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারেরও বেশি গরু-ছাগল উঠেছে হাটে। এখানে গরু-ছাগল এর ক্রেতা-বিক্রেতার অবস্থান ছিল। অধিকাংশ মানুষের মুখে থাকলেও কিছু মানুষের মাক্স ছিল না । স্বাস্থবিধি মানার বালাই ছিলনা। সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়ার সম্ভবনা রয়েই যাচ্ছে।
দেখা গেছে, বাহির থেকে ক্রেতা না আসায় ও মানুষের হাতে টাকা না থাকায় বড় গরু বিক্রয় হচ্ছে না। সবাই ছোট গরুর প্রতি বেশি ঝুঁকছে।
সিকদার বিল গ্রামের খামারি সুলতানুল আলম বলেন, ‘আমি তিনটি মাঝারি গরু ও একটি বড় গরু হাটে নিয়ে আসছি। ছোট গরুগুলো বিক্রি হয়ে গেলেও বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না। জেলার বাইরে থেকে পাইকার না আসায় বড় গরু বিক্রি হবে না।
ক্লাসপাড়া গ্রামের ক্রেতা মোমিনুল হক বলেন, আমাদের এলাকায় ছোট গরু বেশি বিক্রি হয়। দাম তুলনামূলক কম। প্রতিটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ হাজার টাকায়।
খামারি আহমেদ হোসেন বলেন, ২ লাখ টাকা ধার-দেনা করে বড় চারটি গরু লালন-পালন করে হাটে তুলছি। কেউ কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে না। পাইকার না আসলে গরু বিক্রি হবে না।
লম্বাশিয়া গ্রামের খামারি রফিক হোসেন বলেন, দাম ভালো পাওয়ার আশায় হাটে দু’টি মহিষ নিয়ে এসেছি। বাড়িতে প্রতিটির দাম বলেছিল ৭০ হাজার টাকা করে। হাটে আনার পর ৫৫ হাজার টাকার বেশি কেউ বলেনি। অন্য জেলা থেকে ব্যাপারী না আসায় গরুর দাম কমে গেছে।’
উখিয়া দারোগা বাজার গরু হাটের ইজাদার আব্দুর রহিম বলেন, আমরা প্রতি সাপ্তাহের মতো গরুর হাট বসিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা করছি এবং বাজারে প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার বালতি স্থাপন করা হয়েছে।