শরীফ আজাদ:
উখিয়া প্রশাসন কে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সারা দিন মাঠে থাকতে দেখা গেছে। গুটি কয়েক টমটম, সিএনজি ছাড়া তেমন কোন যানবাহন সড়কে দেখা যায়নি। তবে এনজিও সংস্থার গাড়ির দখলে ছিল সড়ক।
কোটবাজার এলাকায় কাচাবাজার, ঔষুধের দোকান ও মুদির দোকান ছাড়া অন্য কোন দোকান খোলা ছিলনা। তবে কাচা বাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করতে আসা মানুষের ভিড়ও চোখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছে উন্মোক্ত জায়গায় কাচা বাজার করা গেলে ভিড় কমত।
উখিয়া সদরে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কাচাবাজার, ঔষুধের দোকান ও মুদির দোকান ছাড়া অন্য কোন দোকান খোলা ছিলনা। তবে এনজিও কর্মীর ও এনজিওর গাড়ীর দখলে ছিল সড়ক।
কুতুপালং সড়কের উপর কাচা বাজার বসতে দেখা গেছে। রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরন ছিল চোখে পড়ার মত। তবে সব দোকান পাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
থাইংখালী বাজারে রোহিঙ্গাদের অবস্থান ছিল সব চেয়ে বেশি। বিজিবি অবস্থান করার সাথে সাথে রোহিঙ্গারা দিক বেদিক ছুটতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা বলছে, এনজিও সংস্থারকর্মী ও তাদের গাড়ী এবং রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রন করা গেলেই উখিয়ায় কঠোর লগডাউন শতভাগ সফল হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা কঠোর ভাবে লগডাউন পালন করার চেষ্টা করছি। উখিয়ার সকল জনগন আমাদের সহযোগিতা করেছে। তবে যারা অবহেলা করেছে তাদের সংশোধনীর জন্য আমরা ১৪ জনকে ১০ টি মামলা দিয়ে ৪৬০০ টাকা জরিমানা করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনজিও সংস্থার কার্যক্রম অনেক নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। আরআরআরসি অফিসের অনুমোদন দেওয়া গাড়ী গুলোই শুধু মাত্র ছাড়া হয়েছে। কাল থেকে আমরা আরো কঠোর অবস্থানে থাকব। কোন এনজিও কর্মী অকারনে বাইরে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।