নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা এলাকায় যৌথ চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কেজি ওজনের ৬টি স্বর্ণের বারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে এই স্বর্ণ আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির রামু ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা জানতে পারেন আন্তজার্তিক চোরাচালানি চক্র বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার নিয়ে অবৈধভাবে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এই খবর পাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা উখিয়ার মরিচ্যা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান শুরু করে। আশেপাশের এলাকাতেও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়।
রাত পৌনে এগারোটার দিকে একটি সিএনজি ওই চেকপোস্ট অতিক্রমকালে বিজিবি সদস্যরা সিএনজিটি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশিকালে সিএনজি চালক এবং যাত্রীর আচরণ সন্দেজনক মনে হওয়ায় তাদেরকে সিএনজি থেকে নামিয়ে দেহ তল্লাশি করা হয়। কিন্তু সিএনজির যাত্রী মো. নুরুল আবছার খোকন (৩২) এবং সিএনজি চালক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিনের (৩৪) দেহ তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে সিএনজিটি তল্লাশি করা হলে সিএনজির স্টিয়ারিং বক্সের ভেতরে অভিনব কৌশলে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৯৯৬.৫০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর মূল্য আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তারকৃত নুরুল আফসার খোকন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং মাইনুদ্দিন টেকনাফের জাহাজমারা এলাকার বাসিন্দা। বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত সিএনজি জব্দ করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, স্বর্ণের বারগুলোর প্রকৃত মালিক টেকনাফের বাসিন্দা রিপন পাল। তার কাছে স্বর্ণের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। পরবর্তীতে রিপন পালকে আটককৃত স্বর্ণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মালিকানা প্রত্যাখ্যান করে।
বিজিবি জানায়, করোনা মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযানসহ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।