নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়া হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সাহাব মিয়ার ছেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদ ও তার ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ এর দখলে নাইক্ষ্যংছড়ি-উখিয়ার ইয়াবা বাজার।
জানাযায়, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত হাফ ডজন অধিক মামলার আসামী আলী আহাম্মদ উখিয়া টেকনাফে ইয়াবা পাচারের শীর্ষে রয়েছে।
২০১৮ সালে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের হাতে ইয়াবা নিয়ে ধরাপড়ে আলী আহাম্মদ (যার জি.আর মামলা নং ১৫/১৮)। সে উক্ত মামলায় বান্দরবান জেল থেকে জামিনে এসে তিন মাসের ব্যবধানে ২০১৯ সালে কর্ণফুলী থানা পুলিশের হাতে আবারও ইয়াবাসহ আটক হয় (যার জিআর মামলা নং ২৫২/১৯)। উক্ত মামলায় ২০২০ সালে চট্টগ্রাম কোর্টে থেকে জামিনে এসে আবার ইয়াবা বাজার দখলে নিয়েছে আলী আহাম্মদ ও তার ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ। ২০২০ সালের শেষে ২০২১ সালের শুরুতে আলী আহাম্মদ জামিনে এসে নিয়মিত ইয়াবা পাচার করে আসছিল। তার বিরোদ্ধে গত ১৩ আগষ্ট নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় আরও একটি ইয়াবা মামলা রুজু হয় (যার মামলা নং ২৩৯/২০২১)।
মামলার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, উখিয়ার হলদিয়া পালং পাতাবাড়ি থেকে এই বছর র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের অভিযান চালিয়ে কয়েক দফা ইয়াবা উদ্ধর করে তাদের। ইয়াবা সিন্ডিকেটের পাচার কারিরা ধরা পড়লেও কৌশল পার পেয়ে যাচ্ছে প্রকৃত ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদ ও তার সহযোগিরা।
গত ৮ আগস্ট পাতাবাড়ী বাজার কামাল সওদাগরের দোকানের সামনে থেকে ৭৯৫০ পিছ ইয়াবা নিয়ে ও ছৈয়দ প্রকাশ কলা ছৈয়দ চার দোকানের ভিতর থেকে ৬০ হাজার পিছ ইয়াবা নিয়ে আলী আহাম্মদ এর সেকেন্ড ইন কমান্ডার খাইরুল আলম ও কালু র্যাব এর হাতে আটক হয়ে জেলে রয়েছে।
পাতাবাড়ি এলাকার স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সচেতন ব্যাক্তি বলেন আলী আহাম্মদ এক জন বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও বহু মামলায় জেল ফেরত আসামি।
এক মোদীর দোকানদার বলেন, আলী আহাম্মদ প্রায় সময় মোবাইলে বলতে শুনি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি তার হাতের তালুর ভিতরে। তাদেরকে সে তোয়াক্কাও করে না। সে টাকা দিয়ে সব কিছু করতে পারে।
আলী আহাম্মদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।