চট্টগ্রাম২৪ ডেস্কঃ
কক্সবাজারে টানা প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসে ছয় রোহিঙ্গাসহ ৯ জন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) পৃথক সময়ে ৬ রোহিঙ্গাসহ নয়জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস এবং পানিতে ভেসে মোট ৬ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বালুখালীস্থ ক্যাম্প ১০ এ পাহাড় ধসে মারা গেছে ৫ জন। পালংখালীস্থ ক্যাম্প ১৮ তে পানিতে ভেসে মারা গেছে এক রোহিঙ্গা শিশু। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে।
এতে পাহাড় ধসে নিহতরা হলেন- ক্যাম্পের ব্লক জি/৩৭ এর নুর মোহাম্মদের মেয়ে নুর বাহার (৩০), শাহ আলমের ছেলে শফিউল আলম (১২), ব্লক জি/৩৮ এর ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৪) ও তাদের দুই সন্তান আবদুর রহমান (৩) এবং আয়েশা সিদ্দিকা (২)। পানিতে ভেসে নিহত রোহিঙ্গা শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। এতে পাহাড় ধসে কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে টেকনাফে পাহাড় ধসে ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে রকিম আলী (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১ দিকে হোয়াইক্যংয়ের মনিরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রকিম আলী হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে মনিরঘোনা এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, দেয়াল চাপা পড়ে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ের পাদদেশে বা আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
অপর দিকে মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের উত্তর সিপাহী পাড়ায় পাহাড় ধসে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ২ টার দিকে পাহাড়ের একাংশ ধসে স্থানীয় মো. আনছারের মাটির ঘরের দেয়ালে পড়ে। এতে ঘরের দেয়ার চাপা পড়ে তার মেয়ে মুরশিদা (১৫) নিহত হয়।
একই দিন দুপুর ১২ টার দিকে নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের শীলপাড়া গ্রামে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হলো সুবাস বড়ুয়ার ছেলে আশীষ বড়ুয়া (১৬)।
নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন।