১০ আগস্ট শেষ হচ্ছে চলমান বিধিনিষেধ। এরপর বিধিনিষেধ আর বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় পরদিন ১১ আগস্ট থেকে ‘সীমিত পরিসরে’ গণপরিবহন চলাচলের কথাও নিশ্চিত করেছে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র। এ জন্য নতুন করে প্রজ্ঞাপনও দেওয়া হতে পারে।
১০ আগস্ট চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার। সেটার ওপর ভিত্তি করেই মূলত গণপরিবহন চলবে।
তবে এক্ষেত্রে ‘সীমিত পরিসর’ বলতে কী বোঝায় তা জানতে চাওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের কাছে। তারা জানান, ‘সীমিত’ মানে সব পরিবহন চলবে না। অর্ধেকের মতো চলবে। তাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। প্রয়োজনে অর্ধেকেরও কম পরিবহন চলবে। জরুরি প্রয়োজন যাদের তারাই চলাচল করতে পারবেন। বিনা প্রয়োজনে ভ্রমণকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে পারেন।
গত ৩ আগস্ট বিধিনিষেধ সংক্রান্ত এক বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পরদিন ১১ আগস্ট থেকে দেশের সকল দোকানপাট, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে সীমিত পরিসরে চলবে গণপরিবহনও।
তবে সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করলেও আগে যে রুটে এক শ’ বাস চলতো সেখানে ৫০টি বা তার কম চলবে।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ১০ তারিখের পর বিধিনিষেধ শিথিল হবে। ধারণা করা হচ্ছে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা যদি নৌযান চলাচলের অনুমতি দেই তবে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানতে হবে। তিনি আরও বলেন, এখানে বিশেষজ্ঞদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই পাঁচদিন লকডাউন বাড়িয়েছি।
জনতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছি না। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো। বিআরটিএও আগাম কিছু জানায় না। তবে ৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেছিলেন, ১১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলবে।
এদিকে পরিবহন চালকরা বলছেন, দোকানপাট খোলা থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবনহও চালু হতে পারে। যেহেতু গার্মেন্টসও খোলা সেহেতু কর্মীদের যাতায়াতের জন্য গণপরিবহন দরকার।