মনছুর আলম মুরাদ(কর্ণফুলী)প্রতিনিধিঃ
আগামী ১৫ই জুন ইভিএম পদ্ধতিতে দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১সিটি কর্পোরেশন,৬ পৌরসভা ও ৮ম ধাপের ১৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
আর এই নির্বাচন কে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার পর পরই এলাকায় শুরু হয় নির্বাচনী আমেজ ,কে হতে পারে চেয়ারম্যান এই নিয়ে চলে আড্ডা-গুঞ্জনও।দীর্ঘ ৬ বছর পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন,
আর এই নির্বাচন কে সামনে রেখে আলোচনায় উঠে এসেছে কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর নাম।
তাদের মধ্যে রয়েছে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হক, বর্তমান চেয়ারম্যান এবং বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হাজী ছাবের আহমেদ, এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ।
বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী ছাবের আহমেদ ২০১১সালে প্রথম বারের মতো চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ম তম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।এলাকায় স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তিটি ২০১৬সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনীত হয়।রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকা এই মানুষটি কিভাবে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছে সেটা সবার অজানা, পরবর্তীতে ২০১৮সালে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন।
এদিকে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায়, রাস্তার অলিগলিতে সর্বত্র শুনা যাচ্ছে নৌকার প্রতীক পাচ্ছেন মুহাম্মদ সেলিম হক। তবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ শুধু মাত্র একজনের নাম পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কাছে।
এদিকে গত (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন(নির্বাচন পরিচালনা-২)র উপসচিব মোঃআতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি ও তফসিল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে অন্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করলেও,আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌড়াচ্ছেন ঢাকায়।শুরু করছেন মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লবিং,কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে করতে দিনরাত পার করছেন।
গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে, ত্যাগী নেতা হিসেবে দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় মনোনয়ন পেতে পারেন দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ।যিনি গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হিসেবে প্রথম সারিতে ছিলেন।
এদিকে আজ সন্ধ্যায়,স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড এর বৈঠক বসার কথা রয়েছে। যা জানা যাবে কে কে পাচ্ছেন চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক।
এলাকাবাসী বলছেন,যিনি মনোনয়ন পাবেন তিনি হবেন চেয়ারম্যান, কেননা অতীতের নির্বাচনী সহিংসতা ও কেন্দ্র দখল-বেদখল সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে বলা যায়,যিনি নৌকার প্রতীক পাবেন তিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন।
তবে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা,অতীত চিন্তা করে লাভ নেই,পূর্বের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে,প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর বাড়ি আবার চট্টগ্রামের সন্ধীপে,ইসির দ্বায়িত্ব গঠনের পর এটাই তার প্রথম নির্বাচন,সহসাই বলা যাই চট্টগ্রামরের নির্বাচনের উপর বাড়তি নজর থাকবে কমিশনের। চাইবে না প্রথমে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হতে,যদিও বা পুরো বিষয় নির্ভর করে প্রশাসনের সঠিক দ্বায়িত্বের উপর।
এখন শুধু অপেক্ষার পালা কে পাচ্ছে নৌকার টিকেট,কে হচ্ছেন দিনশেষে নৌকার মাঝি।