বার্তা পরিবেশক
জেলা তাঁতী লীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ হাজিপাড়া এলাকায় বঙ্গ ফজল করিম (৫০)কে পাহাড়ের মাটি কাটার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ঝিংলজা বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ।
এব্যাপারে বন আইন ১৯৭২ সন( যা ২০০০সালে সংশোধিত) ৩৩ (১),৩৩ (১ক) ধরার একটি মামলা দায়ের করেছেন ঝিংজা বিট কর্মকর্তা আছলাম হোসেন।
তবে এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ফজল করিম ও তার পরিবার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শহরের একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আছলাম হোসেনের হাতে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হয়ে
সাংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী বঙ্গ ফজল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী ফজল করিম (৫০)
অভিযোগ করে বলেন,
আমি একজন আওয়ামীলীগ পরিবারের দীর্ঘ দিনের পরিক্ষিত সৈনিক আমি দীর্ঘ ৩০ বছর আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিএনপি জামায়াতে দূর্গে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে ধরে আসছি।
কিন্তু বর্তমান দল ক্ষমতায় থাকার পরও নানা ভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চরম মানবতার জীবন যাপন করে আসছি।
কান্না জড়িত কণ্ঠে আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাতে দিনে পাহাড় কেটে বনভূমি ধ্বংস করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না বন বিভাগের ঝিংলজা বিট কর্মকর্তা আছলাম হোসেনের। তবে যারা পাহাড় কাটে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না হলেও ঠিক সে পাহাড় কাটায় দায়ে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হতে হয় সাধারণ নিরহ মানুষদের। প্রকৃত পাহাড় কাটায় জড়িত অপরাধী বাঁচতে বিট কর্মকর্তা আছলাম নিরহ মানুষদের মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করনে।
বঙ্গ ফজল করিম বলেন, নিজ বসতঘর দক্ষিণ হাজিপাড়ায় গত ২৯/০৮/ ২০২১ সকালে আমার বাসা থেকে কয়েক মাইল দূরে স্থানীয় কিছু অসাধু ডাম্পার মালিক সিন্ডিকেটের কে বা কারা পাহাড় কেটে মাটি সমতল করে মাটি বিক্রি করছিল কিছু দিন ধরে। সে পাহাড় কাটার সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই এবং সে পাহাড় কারা কাটছে সেটাও আমি অবগত ছিলাম না।
কিন্তু হঠাৎ করে উক্ত ঘটনার কেন্দ্র করে অসাধু মহলের ইন্দনে ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আছলাম হোসেন আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
যা সম্পূর্ণ ভাবে উদ্দেশ্য প্রণীত হয়রানি মূলক।
উক্ত বন মামলায় যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা হাস্যকর বনবিভাগের লোকজন নাকি অভিযানে গেলে পালাও পালাও বলে চিৎকার করে। সে সময় বন বিভাগের আমাকে চিনতে পেরেছিল তাই আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
একটি ঘটনা কাউকে চিনতে পেরে যাচাই বাছাই না করে একটি মিথ্যা মামলায় হয়রানিরমূলক ভাবে আসামি করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা প্রমাণ করে এটি একটি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ছাড়া আর কিছু না।
তিনি আরো বলেন, মূলত বিট কর্মকর্তা অর্থের
বিনিময়ে প্রকৃত ডাম্পার মালিক সিন্ডিকেটের
ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনা সাজিয়ে প্রকৃত ভূমিদস্যুদের আড়াল করার পাঁয়তারা করছে।
তাই এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু পূর্ণ তদন্তের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি আওতায় এনে এই মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
একই সাথে পাহাড় প্রকৃতি ধ্বংসে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা দাবী করেন বঙ্গ ফজল করিম।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ঝিংলজা বিট কর্মকর্তা আছলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি
এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি মামলার হয়েছে কাগজপত্র কোথায় পেয়েছে তা জানতে চান।