সানজিদা আক্তার রুনা, নাইক্ষ্যংছড়ি:
টানা তিনদিনের বর্ষণে সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন। ফুলেশ্বরী ও ফারিখালের পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে তলিয়ে যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম এবং রাস্তাঘাট। সোমবার থেকে টানা বর্ষণের ফলে বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছরা নামক জায়গায় পুরো রাস্তা ধ্বসে পড়ে এবং নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনীয়া-বাইশারী সড়কের বড়বিল, থোয়াঙ্গাকাটা, থিমছড়ি, জুমছড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল স্রোতে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে পুরোপুরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন নিত্যপণ্য-দ্রব্য সংকটে পড়বে বাইশারী ও ঈদগড় এলাকার ৫০ হাজার মানুষ।
বাইশারী সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক জানান, লাগাতার বর্ষণের ফলে বাইশারী-গর্জনীয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের কয়েকটি জায়গায় ভেঙ্গে গেছে এবং বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের পানেরছরা নামক জায়গায় সড়ক ধ্বসে পড়ায় কার্যত গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানী বলেন- টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও এবং বাইশারী-গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় বাইশারী ইউনিয়ন কার্যত পুরো দেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়বে নিত্যপন্য জিনিসে। তিনি আরো বলেন- সড়ক ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা গণমাধ্যমে বলেন- ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কটি পার্বত্য চট্টগ্রামের আওতাধীন। তবে তিনি সড়কটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করবেন বলে জানান।