ইব্রাহীম মাহমুদ,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপে ঘরের সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আব্দুল গফুর (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে।
সে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৮নং ওয়ার্ড কোনার পাড়ার এলাকার বাসিন্দা মৃত নাদির হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ কোনার পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রেজু মেম্বারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম২৪ কে জানান,বিগত তিন/ চার মাস আগে নিহত আব্দুল গফুরের শ্যালক জাফর আহমদ প্রকাশ জবুর সঙ্গে একই এলাকার সখিনা বেগমের সঙ্গে ঘরের সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিলো।
পরে আমার কাছে বিচার আসলে আমি শালিশের বৈঠকের মাধ্যমে তাদের সীমানার বিরোধ সমাধান করে দিই। সেটি সখিনা বেগম অমান্য করে আবার পুলিশের কাছে বিচার দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানায়, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা সখিনা বেগমের সঙ্গে জাফর আহমদ প্রকাশ জবুর সঙ্গে ঘরের সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েকবার সালিশি বৈঠক ও করা হয়।
এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে দুইপক্ষের নারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জের ধরে বিবাদ সৃষ্টি হলে একপক্ষ অপর পক্ষকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় একটি ইটের পাথর এসে জাফর আহমদ প্রকাশ জবুর ভগ্নিপতি আব্দুল গফুরের গায়ে লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে
শাহপরীর দ্বীপ-টেকনাফ সড়কের ভরাখাল নামক এলাকায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইফফাত কামাল বাপ্পী বলেন, রাত আটটার দিকে এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে তবে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। নিহত ব্যক্তির মাথা ও শরীরের কোথাও কোনো ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহতের শ্যালক জাফর আহমদ ওরফে জবুর বলেন, সখিনার সঙ্গে ঘরের সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল
দীর্ঘদিন ধরে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারীদের ঝগড়া-বিবাদকে কেন্দ্র করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে একটি ইটের পাথর এসে আমার ভগ্নিপতি আব্দুল গফুরের বুকে লাগলে আব্দুল গফুর মাটিতে পড়ে যান।
এইটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আছেন চখিনা বেগমের আত্মীয় রশিদা বেগম ও চেতেরাসহ আরো অনেকেই। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকে ঘরের সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল এটি সত্য তবে নারীদের ঝগড়ার পর একজন বৃদ্ধ মরা যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি।নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।