নিজস্ব প্রতিবেদক:
গরু ব্রাহামা মাংস উৎপাদনের জন্য বিশ্ব সেরা। বিশ্বব্যাপি এই গরু ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশাল আকৃতির ব্রাহামা বাংলাদেশে বিক্রী হয় ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকায়। অথচ টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস কতৃপক্ষ ৫শ টাকা দরে ১০টি ব্রাহামা গরু মাত্র ৫০০০ টাকা দরে বিক্রয় করেছে বলে জানা গেছে।
আহম্মেদ সামশুদ্দিন নামের এক গরু চোরাকারবারী থাইল্যান্ড হয়ে এই গরু বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিল বলে জানা গেছে।
টেকনাফের শাহাপরীরদ্বীপের গরু ব্যবসায়ীরা জানানন, ২৬ জুন চোরাই পথে থাইল্যান্ড থেকে ১০টি ব্রাহামা গরু আমদানী করে ঢাকার ১২ নিউ ইস্কাটনের মৃত আলাউদ্দিনের পুত্র আহম্মদ শামসুদ্দিন।
চোরাই পথে আসা বিশাল আকৃতির ১০টি ব্রাহামা গরু জব্দ করে টেকনাফ শাহাপরিরদ্বীপ বিজিবি। বিজিবির শাহাপরীরদ্বীপ বিওপির প্রতিনিধি ১৯৭/২১ স্মারক মূলে ১০টি গরু জব্দ করে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টর্মসকে হস্তান্তর করে।
টেকনাফ কাস্টমার্স ২৬ জুন ২০২১ এর ০৯৪৮১৭৬ চালান রশিদে দেখাযায় এই ১০টি ব্রাহামা গরু আহম্মদ শামসুদ্দিনের কাছে ৫০০০/ টাকা মূলে বিক্রী করেন।
টেকনাফ শাহাপরীরদ্বীপ গরু ব্যবসায়ীরা বলেন, ২৬ জুন মিয়ানমারের একটি ট্রলারে করে আহম্মদ সামশুদ্দিন ১০টি বড় বড় বিদেশি ব্রাহামা গরু নিয়ে আসে। বিজিবি গরু ১০টি জব্দ করে টেকনাফ কাস্টমস কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। কাস্টমস এই গরু ৫০০ টাকা দরে একই ব্যাক্তির কাছে বিক্রয় করে।
শাহাপরীরদ্বীপের ইসমাইল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ১০টি কান লম্বা ও শিং ছাড়া ব্রাহামা গরু আমার ট্রলার থেকে করিডোরে তুলতে দেখেছি। ঢাকার একজন মালিক দাবি করে এই ১০টি গরু কাস্টমস থেকে নিয়ে গেছে।
টেকনাফের গরু ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী মোঃ শরিফ বলেন, টেকনাফের ব্যবসায়ীদের না জানিয়ে কিছু ব্যাক্তি সরাসরি যোগাযোগ করে এই ব্রাহামা গরু নিয়ে আসে। এইসব গরুর সাথে টেকনাফের কোন ব্যবসায়ী জড়িত নয়।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহামা গরু ১০ টির নিলাম দাতা টেকনাফ স্থল বন্দরের কাস্টমস সুপারেন্টেন আব্দুর নূরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
আহম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, তিনি মিয়ানমার থেকে গরু গুলো কিনে এনেছেন। সাধারনত যে নিয়ম গুলো মেনে মিয়ানমার থেকে গরু আসে সেই নিয়ম মেনেই গরু গুলো কিনেছি। ঢাকার কাচপুরে খামার থেকে এই গুরু গুলো বিক্রী করা হচ্ছে।