সানজিদা আক্তার রুনা, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯১তম জন্মদিন উপলক্ষে আলাচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে রবিবার সকাল সাড়ে ১২টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা টি,টি,সি,আই হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী“ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাফর মো ছলিম, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তদন্ত শরীফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো : ইমরান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুল ইসলাম,সম্পাদক ডা:সিরাজুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আব্দু সাত্তার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আলী হোসেন,উপজেলা যুব মহিলালীগ সভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য সানজিদা আক্তার রুনা, উপজেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমূখ।
একজন বক্তা বলেন,বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন।
অপর একজন বক্তা বলেন,এদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন যার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আর এই মহীয়সী নারী ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।
এদিকে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু নিজেই লিখেছেন-
আমার সহধর্মিণী একদিন জেলগেটে বসে বলল, ‘বসেই তো আছ, লেখ তোমার জীবনের কাহিনী।…‘আমার স্ত্রী যার ডাক নাম রেণু-আমাকে কয়েকটা খাতাও কিনে জেলগেটে জমা দিয়ে গিয়েছিল। জেল কর্তৃপক্ষ যথারীতি খাতা কয়টা আমাকে দিয়েছেন। রেণু আরও একদিন জেলগেটে বসে আমাকে অনুরোধ করেছিল। তাই আজ লিখতে শুরু করলাম।
অনুষ্ঠানের সভাপতি নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস এর বক্তব্যের শেষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৭ জন দুস্থ মহিলাদের সেলাই মেশিন ও ১টি হারমোনিয়াম বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সকাল ১০টায় হলরুমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা হয়েছে।