মনছুর আলম মুরাদ, কর্ণফুলী প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রমজান আলীর হত্যাকারী দের দ্রুত আটক ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ(২৩জুন)বিকেলে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন কর্মসূচি তে এলাকাবাসীর সাথে রাজপথে পিতার হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি নিয়ে অংশ নেই নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত রমজান আলীর তিন সন্তান সহ তাঁর মা-বাবা,ভাই ও সহধর্মিণী।
নিহত রমজান আলীর বাবা ও তিন সন্তান অস্রুজল চোখে বলে,যাঁরা আমাকে সন্তান হাঁরা করেছে,যাঁরা আমাদের তিন ভাই বোন কে এতিম করেছে, পিতার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত করেছে আমরা তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
নিহত রমজান আলীর স্ত্রী বলেন,আমি প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি,যাঁরা আমার এই তিন ছেলে-মেয়েকে এতিম করেছে,আমাকে স্বামীহাঁরা করেছে তাদের কে যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গ,গত(১৫জুন)অনুষ্ঠিত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি)নির্বাচনকে কেন্দ্র করে,নির্বাচনের একদিনের মাথায়(১৬)জুন বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ইছানগর ৭নং ওয়ার্ডের(ফুটবল)প্রতীকের বিজয়ী মেম্বার সাইদুল হক এর সমর্থকরা পরাজিত(মোরগ)প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ ইসহাক এর সমর্থক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী(৩৫)কে ইছানগর ৭নং ওয়ার্ডস্থ নুর মোহাম্মদ’র মুদি দোকানের সামনে ছুরিকাঘাত করলে সে গুরুত্বর আহত হয়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত পৌনে নয়টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক)হাসপাতালে নেওয়া হলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।পরেরদিন ময়না তদন্ত শেষে আছরের নামাযের পরে তাকে দাফন করা হয়। নিহত রমজান আলী দুই ছেলে ও এক মেয়ে(তিন সন্তানের)জনক।
পরে(১৭জুন) শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলমগীর বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন’র ইছানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল আলমের তিন ছেলে শহিদুল ইসলাম হৃদয় (১৯), মো. রাশেদ (২৮) ও খোরশেদ আলম (৩০), একই ওয়ার্ডের মৃত মোহাম্মদ হোসেন ছেলে আবুল কালাম (৩২), মো. সেলিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পারভেজ (১৮), বশির উল্লাহর ছেলে আরিফুল ইসলাম দুখু (১৯) ও মো. জামালের ছেলে মো. বিজয়কে (২০) আসামি করা হয়। এছাড়া আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় । পরবর্তী তে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইছানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম হৃদয়(২০)কে শনিবার (১৮ জুন) রাতে ঢাকার উত্তরা ১২ নং সেক্টর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।আসামিরা সবাই ওই ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী সাইদুল হকের সমর্থক বলে জানা গেছে ।