মোহাম্মদ সামুন উদ্দিন শাওনঃ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারনে মাতারবাড়ি ধলঘাটে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়কতি হয়েছে। আর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। আর অনুমোদন হলেই ডিসেম্বরে শুরু হবে মাতারবাড়ি ও ধলঘাটায় সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ। এছাড়াও কুতুবদিয়ার বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের জরিপ শেষ হয়েছে। অচিরেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে প্রস্তাব।
মাতারবাড়ি -ধলঘাট বেড়িবাঁধ নির্মাণের বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীগের নেতৃবৃন্দরা।
পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়নের বোর্ডের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনেয়ার বলেন, এই ডিসেম্বরেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে মাতারবাড়ি -ধলঘাটের মানুষের রক্ষা করা হবে।
সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রকল্প গ্রহন করা হচ্ছে। অনুমোদন হলেই ডিসেম্বরেই শুরু হবে মাতারবাড়ি -ধলঘাটায় সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ।
এতে শতভাগ সুরক্ষিত হবে মহেশখালীর এই দুইটি ইউনিয়ন। এটি স্থানীয় লোকজনের দীর্ঘদিনের দাবী হলেও সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে অচিরেই।
মাতারবাড়ির স্থানীয় জানান, যেকোন ঘূর্ণিঝড়ে আমরা দিশেহারা হয়ে যায়, এবার ইয়াসের আগাতে ঘরবাড়ী সহ সবকিছু লণ্ডভণ্ড হইয়ে গেছে। তাই আমরা ত্রাণ চাই না টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। সেটা আমাদের সরকারের কাছে প্রাণের দাবী। এলাকাবাসী আশা করে যে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা প্রস্তাবনা পাস হলে মাতারবাড়ি -ধলঘাটায় ১৭.৭৫ কিলোমিটার সুপার ডাইক বেড়িবাঁধ একটি উন্নত ও আধুনিক বেড়িবাঁধে রুপান্তরিত হবে।
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক জানান, মাতারবাড়ি -ধলঘাটে সরকারের মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলের মানুষকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সবসময় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা বলেছেন এবং তা অতি শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।