নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের টাইপালং গ্রামে বসবাসরত ১৫/১৬ বছর আগে মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে পালিয়ে আসা মোহাম্মদ শফির তিন পুত্র একরাম উল্লাহ(৩০)রশিদ উল্লাহ(৩৫)আমান উল্লাহ(২২) ভাই ভাই সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও উখিয়া বাজারে শুকনো মাছের ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে দেশের আনাচে-কানাচেতে মাছের ঝুড়িতে করে কৌশল ইয়াবা পাচার করে এক/দেড় বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
সুত্রে জানা যায়, তাদের বংশধরেরা এখনো মায়ানমার ও উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকার সুবাধে অতি সহজেই ইয়াবা ব্যবসার সুফল গুনছে তারা তিন ভাই।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ব্যবসার সুবিধার্তে সুকৌশলে ইয়াবা পাচারের মামলা থেকে রক্ষা এবং ইয়াবার তকমা লোকাতে লাখ টাকার মিশন নিয়ে সন্ত্রাসী গ্রুপ আল- ইয়াকিনদের ব্যবহার করে নিজেদের আড়ালে রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে বিরামহীন পাচারযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সিন্ডিকেট।
তিন ভাই সরাসরি মায়ানমার/রোহিঙ্গা কেন্দ্রীক মাদক কারবারি হওয়ার সুবাদে স্থানীয় ইয়াবা গডফাদারদের সাথে গড়ে তুলেছে ইয়াবা ব্যবসার বিশাল সিন্ডিকেট।মাদকের টাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না কেউই।৩-৪ বছর আগে৫-১০ হাজার টাকা তাদের দৃশ্যমান মুলধন হলেও এখন ইয়াবার বদৌলতে বেড়ে কোটি কোটি টাকায় উন্নতি হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত একরাম উল্লাহ বলেন,দীর্ঘ একযুগ ধরে আমরা শুকনো মাছের ব্যবসা করে যাচ্ছি।আমাদের ব্যবসায়িক সুফলের প্রতি ঈর্ষাহ্নিত হয়ে কিছু মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মাত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক বিরোধী যুব প্রতিনিধি বলেন, এইসব অবৈধ ছদ্ম বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন,এসব ইয়াবা ডিলারদের আইনের আওতায় না আনলে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।তাই আমরা মহা পুলিশ পরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর আবেদনে গ্রেপ্তার পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছি।