কাইছারুল ইসলাম, মহেশখালী:
মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে চলমান রয়েছে সরকারের মহা কর্মযজ্ঞ। তারই সুবাধে প্রতিদিন ৫-১০ হাজারেরও অধিক গাড়ি ঢুকে মাতারবাড়ীতে। এসব গাড়ি চলাচলের জন্য বদরখালী – মাতারবাড়ী
একটিমাত্র প্রধান সড়ক রয়েছে। উন্নয়ন কাজে ধীরগতি আর সমন্বয়হীনতার কারণে সড়কের অবস্থা বেহাল। তার ওপর বৃষ্টিতে খানা-খন্দে ভরা সড়কে দুর্ভোগের শেষ নেই। ভাঙা চোরা রাস্তায় আটকা পড়ছে যানবাহনের চাকা। বাড়ছে যানজট, ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা।
মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,সড়কটির ধারণক্ষমতা ১০-১২ টন। কিন্তু প্রতিদিন চলমান সরকারি প্রকল্পের ৩৫-৪০ টন ওজনের মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এ কারণে রাস্তাটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের
ঘর থেকে বের হয়ে মাতারবাড়ী ব্রিজ পার হতেই ভোগান্তিতে পড়ছেন এলাকাবাসী । সড়কে তীব্র জটে ব্যাহত হচ্ছে প্রকল্পে পণ্য পরিবহন। তীব্র যানজটের ফলে এলাকার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
রাস্তার যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই সড়কে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। ভারি মালামাল পরিবহন, জরুরি রোগী নিয়ে রাস্তায় চলাচল করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে। সড়কটির এমন বেহাল দশার অজুহাতে সিএনজি চালকরা দফায় দফায় বৃদ্ধি করছেন ভাড়া। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। রাস্তায় চলাচলকারী লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাগব করতে দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (২২জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। গর্তের অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। মাতারবাড়ী ব্রিজের নিচে সৃষ্ট বিশাল গর্তে গাড়ি আটকে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। দীর্ঘ ১ ঘন্টা যাব যান চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের ক্ষোভের শেষ নেই।
যানজটে দাড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ আছিয়া খাতুন জানান, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রতিমাসে ১/২ বার এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। যখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি মনে হয় এখনই মারা যাব।সরকারের কত উন্নয়ন হচ্ছে! এই রাস্তার উন্নয়ন হয়না কেন?
অসুস্থ শরীর নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কোনভাবেই মন চাইনা। এই রাস্তা সংস্কার করে দিলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য মন খোলে দোয়া করব।
ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন জানান, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুঘর্টনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষেরও নাভিশ্বাস ওঠে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, রাস্তাটি ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। বড় বড় যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কটিতে এলজিইডির সংস্কার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই অর্থবছরেই সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে স্থানীয়দের কষ্ট লাঘব হবে বলে জানান তিনি।