নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাছ ব্যবসার আড়ালেই চলছে ইয়াবা সম্রাট একরামের রমরমা ইয়াবা বানিজ্য। রোহিঙ্গা একরাম মায়ানমার থেকে ইয়াবা রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ক্যাম্পে এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুকনো মাছের কাটনে করে চালান দেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে পালিয়ে এসে মোহাম্মদ শফির ছেলে একরাম উল্লাহ(৩০), রশিদ উল্লাহ(৩৫), আমান উল্লাহ(২২) সিন্ডিকেট উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের টাইপালং গ্রামে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা আগমনের সাথে সাথে এমরাম ও তার দুই ভাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শুকনো মাছের ব্যবসা শুরু করে।
সে মায়ানমারের নাগরিক হওয়ার সুবাদে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে মায়ানমার থেকে ইয়াবার চালান ক্যাম্পে নিয়ে এসে শুকনো মাছের কাটনে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে চালান করে।
গত দুই বছরে তার ব্যবসায় আলাদ্দিনের চেরাগ পাওয়ার সুবাদে একরাম সিন্ডিকেট এখন উখিয়া উপজেলা ছাড়িয়ে কক্সবাজারেও তার চাচাত ভাইদের মাধ্যমে ৫ টি দোকান পরিচালনা করে যাচ্ছে। কক্সবাজারের কাজী পিউর ফিশ নামক গুদামে কোটি টাকার শুকনো মাছ বাজার জাত করার জন্য মজুদ করে রেখেছে একরাম সিন্ডিকেট।
স্থানীয়রা জানায়, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও উখিয়া বাজারে শুকনো মাছের ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে দেশের আনাচে-কানাচে মাছের ঝুড়িতে করে কৌশল ইয়াবা পাচার করে এক/দেড় বছরের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তাদের কারনে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের পথে।
এলাকার সচেতন মহল তাদের ইয়াবা ব্যবসায় অতিষ্ট হয়ে মহা পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিল। এর পরেও তাদের বিরোদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না হওয়ায় এলাকার মানুষ সংক্ষিত।
তারা তিন ভাই সরাসরি মায়ানমারের নাগরিক হওয়ায়ার সুবাদে স্থানীয় ইয়াবা গডফাদারদের সাথে গড়ে তুলেছে ইয়াবা ব্যবসার বিশাল সিন্ডিকেট। যার ফলে মুখ খুলছে না কেউই। ৩-৪ বছর আগে ৫-১০ হাজার টাকা তাদের দৃশ্যমান মুলধন হলেও এখন ইয়াবার বদৌলতে মুলধন বেড়ে কোটি কোটি টাকায় উন্নতি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক বিরোধী যুব প্রতিনিধি বলেন, এইসব অবৈধ ছদ্ম বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন। এসব ইয়াবা ডিলারদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত একরাম উল্লাহ বলেন, দীর্ঘ একযুগ ধরে আমরা শুকনো মাছের ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমাদের ব্যবসায়িক সুফলের প্রতি ঈর্ষাহ্নিত হয়ে কিছু মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে মাত্র।
অভিযুক্ত আমান উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক কে বলেন, আমি আপনার ছোট ভাই মনে করবেন। আপনার বিকাশ নাম্বার দেন আমি আপনার জন্য খরচ পাঠিয়ে দিব। আপনি আমাদের বিরোদ্ধে নিউজ করবেন না।