শরীফ আজাদ:
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজারে এএসআই মামুন লকডাউন বাস্তবায়ন কালে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা সড়ক অবরোধ করেন রাখে বলে জানাগেছে।
সোমবার (২৮ জুন) সময় দেড়টার দিকে উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা বাজারে উখিয়া থানার এএসআই মামুন লকডাউন বাস্তবায়ন কালে এঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালামত উল্লাহ নামে একজন তার আইডিতে লিখেছেন, এএসআই মামুন কর্তৃক ভিজিডি উপকার ভোগীদের ইউনিয়ন পরিষদ হতে চাউল নিয়ে যাওয়ার পথে টমটম সিএনজি চালকদের কাছ থেকে টাকা না পেয়ে গাড়ীর চাবি নিয়ে ফেলেন এবং উপকাভেগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেলেন ও মারধর করেন। পরে ভিজিডি উপকার ভোগীরা রাস্তা অবরোধ করে ফেলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম ও এম মনজুর আলম উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন। এতে এএসআই মামুন জনগণের ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
স্থানীয়রা জানান, মরিচ্যা বাজারে উখিয়া থানার এএসআই মামুন লকডাউন বাস্তবায়ন কালে হলদিয়াপালং ইউপি চেয়াররম্যান শাহ আলম ও ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাধা প্রধান করে। যদিও সকাল থেকে এএসআই মামুন মরিচ্যা বাজার এলাকায় লকডাউন কার্যকরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করেন। এসময় ওসি উখিয়ার নির্দেশে অনুমোদনহীন গাড়ি আটক করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চেয়ারম্যান শাহ আলম দায়িত্বরত এএসআই মামুনকে ইউপি কার্য্যালয়ে ডেকে পাঠান ও গাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। পরে এএসআই মামুন চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে ওসি উখিয়া ও ইউওএনও উখিয়ার সাথে কথা বলতে বলেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ও মেম্বার মন্জুর ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি ভবনে ভিজিডি চাল নিতে আসা নারীদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে ব্যারিকেড দিতে বলেন বলে জানাযায়।
এসময় তারা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও এএসআই মামুনকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চেয়ারম্যানের বাধা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা মরিচ্যা বাজার থেকে সরে আসেন।
স্থানীয় মেম্বার মনজুর বলেন, লকডাইনের প্রথমদিন একটু ডিলেডালা রাখার কথা থাকলেও পুলিশ কঠোর ছিল। এতে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। আমি এসে এসআই মামুনের সাথে কথা বলে সকল গাড়ীর চাবি চালকদের হাতে তুলে দিলে ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে যায়। মহিলারা কেন সড়ক অবরোধ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিপক্ষের কিছু লোক ফায়দা লুটতে সাধারন মানুষকে উষ্কানি দেয়। যার ফলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে উঠেছিল। আমি বিষয়টি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সন্জুর মুরশেদ বলেন, আমি মরিচ্যার ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানিনা। কেউ আমাকে কিছু জানায় নি। তবে মরিচ্যায় প্রায় সময় রাজনৈতিক ঝামেলা হয়ে থাকে। অপ্রিতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।