হল না খুলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্থগিত থাকা পরীক্ষাসমূহ পুনরায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তাতে হল খোলার কোন নির্দেশনা না থাকায় হাজার হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী আবাসন সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে যা অত্যন্ত অবিবেচনাপ্রসূত, অমানবিক, হয়রানি মূলক ও নিন্দনীয় সিদ্ধান্ত বলে ছাত্রসমাজ মনে করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১ সেপ্টেম্বরের আগে সাত কলেজের হলসমূহ খুলে দেবার জন্য সরকার ও সাত কলেজের সমন্বিত প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছে নাগরিক ছাত্র ঐক্য।
এতে বলা হয়, বার বার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারির অজুহাতে সারাদেশের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের দাবিকে অগ্রাহ্য করে সরকার ন্যাক্কারজনক ভাবে দীর্ঘ আঠারো মাস যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে যার নজির পৃথিবীর কোন দেশে নেই। এতে সরকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনই কেবল ব্যাহত করেনি সেই সাথে সমগ্র জাতির ভবিষ্যতকে এক গভীর অন্ধকারের দিকে ধাবিত করেছে।জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণটিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে থাকতে দিন, তাদের দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে যদি বাধ্য করা হয় এর পরিনতি সরকারের জন্য কোন শুভ সংবাদ বয়ে আনবে না।