মনছুর আলম মুরাদ, কর্ণফুলী প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় চাঞ্চল্যকর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রমজান আলী হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামী শাহরিয়ার রাশেদ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল (২৭জুন) সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশের একটি টিম। তাঁকে থানায় নিয়ে এসে আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতে তোলার কথা রয়েছে ।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ।
পুলিশের হেফাজতে থাকা রাশেদ ইছানগর ৭নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল আলমের ছেলে। সে রমজান হত্যা মামলার ২নং এজাহার নামীয় আসামি। এর আগে রাশেদের ছোটভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইছানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম হৃদয়(২০)কে গত শনিবার (১৮ জুন) রাতে ঢাকার উত্তরা ১২ নং সেক্টর থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গ,গত(১৫জুন)অনুষ্ঠিত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি)নির্বাচনকে কেন্দ্র করে,নির্বাচনের একদিনের মাথায়(১৬)জুন বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ইছানগর ৭নং ওয়ার্ডের (ফুটবল) প্রতীকের বিজয়ী মেম্বার সাইদুল হক এর সমর্থকরা পরাজিত(মোরগ)প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী মোহাম্মদ ইসহাক এর সমর্থক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলী(৩৫)কে ইছানগর ৭নং ওয়ার্ডস্থ নুর মোহাম্মদ’র মুদি দোকানের সামনে ছুরিকাঘাত করলে সে গুরুত্বর আহত হয়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত পৌনে নয়টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক)হাসপাতালে নেওয়া হলে,কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।পরেরদিন ময়না তদন্ত শেষে আছরের নামাযের পরে তাকে দাফন করা হয়। নিহত রমজান আলী দুই ছেলে ও এক মেয়ে(তিন সন্তানের)জনক।
পরে(১৭জুন) শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলমগীর বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন’র ইছানগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শফিউল আলমের তিন ছেলে শহিদুল ইসলাম হৃদয় (১৯), মো. রাশেদ (২৮) ও খোরশেদ আলম (৩০), একই ওয়ার্ডের মৃত মোহাম্মদ হোসেন ছেলে আবুল কালাম (৩২), মো. সেলিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পারভেজ (১৮), বশির উল্লাহর ছেলে আরিফুল ইসলাম দুখু (১৯) ও মো. জামালের ছেলে মো. বিজয়কে (২০) আসামি করা হয়।
এছাড়া আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়, আসামিরা সবাই ওই ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী সাইদুল হকের সমর্থক বলে জানা গেছে ।