ক্রাইম ডেস্ক:
উখিয়া হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সাহাব মিয়া হাজীর মেজ ছেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডন আলী আহাম্মদের ছোট ভাই নুূর মোহাম্মদ নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম রেজু পাড়া স্পেশাল বিজিবি টিমের জালে আটক হয়েছে জানা যায়। চালানের মূল নায়েক ইয়াবা ডন আলী আহাম্মদ গ্রেপ্তারের খবর পালাতক রয়েছে। বিজিবির কয়েকটি শক্তিশালী ইউনিট বাড়ি পাহাড়া রেখেছে বলে জিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিজিবির প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে বাড়ি বড় ধরণের ইয়াবা চালান রয়েছে বলে জানান ইয়াবা ডন আলী আহাম্মদের ভাই নূর মোহাম্মদ।
আলী আহাম্মদ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ সালে ইয়াবা নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় গ্রেপ্তার হয়। যার (জি আর মামলা নং ১৫/১৮ নং) উক্ত ইয়াবা মামলায় জামিনে এসে পুনরায় ইয়াবা চালান নিয়ে চট্টগ্রামে গেলে ২৭/০৪/২০১৯ ( জিআর ২৫২/২০১৯) চট্টগ্রাম কর্ণফুলি থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় আবারও আলী আহাম্মদ। উক্ত ইয়াবা মামলায় ২০২০ সালে জামিনে এসে পূর্বের ন্যয় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নিজে, ভাই, মা, রোহিঙ্গাদের ছেলের দ্বারা। তারা ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনেছে। কিনেছে ডাম্পার গাড়ি, গড়ে তুলেছে বাড়িগাড়ি এবং কোটি টাকার ব্যবসা।
তাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচার, নারী নির্যাতন, মানবপাচার সহ ২ডজন মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানতে পারা যায়।
তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাজের নামে বিভিন্ন অবৈদ কাজে ব্যবহার করে আসছে।
স্থানীয় জবর মুলক সিকদার মসজিদের মুসল্লিদের মাগরিবের নামাজ শেষে মুসল্লিদের কাছে জানতে চাইলে কয়েক জন ব্যক্তি বলেন, ইয়াবা ব্যবসার চেয়ে অনেক বড় বড় কাজ করে আসছে তারা। ইয়াবা নিয়ে কয়েক বার জেল কেটেছে আলী আহাম্মদ। তার ভাই নুর মোহাম্মদকে বিডিআরে নিয়েগেছে সেটা শুনছি। তাদের ২ডজনের অধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললে ইয়াবা মামলা আসামী করনে এবং হামলার মামলার হুমকি দেয়।
স্থানীয় ইপি সদস্য ফজল করিম সাওদাগর কাছে আটকের ব্যপারে মিডিয়া জানতে চাইলে মিডিয়াকে জানান, নূর মোহাম্মদকে বিজিবি আটক করে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অবৈদ লোকদের নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যায়। তার ইয়াবা ব্যবসায়ী তার বড় ভাই ইয়াবা নিয়ে দু’তিন বার জেল খেটেছে।
ইয়াবা ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদের মোবাইলে কথা বলতে অনেক বার চেষ্টা করার পরেও মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
বিজিবি স্পেশাল টিমির কাছে জানতে চাইলে অভিযান অব্যাহত থাকায় কিছু বলতে চান নাই তারা।